ভারতবর্ষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি, এ কথা মনে পড়লেই ভাবি বাস্তবিক কি তাই? ভারতবর্ষকে যদি শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি বলি তাহলে কর্মভূমি বলব কোনটাকে? আর লীলাভূমিই বা বলব কোন স্থানকে? ভারতবর্ষ যে শ্রীকৃষ্ণের সবটা। এটা তাঁর জন্মভূমি, কর্মভূমি, লীলাভূমি বলেই শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে ভারতবর্ষ হতে পৃথকভাবে চিন্তা করতে পারেন নাই।
ভারতবর্ষের গােটা শরীরটাই কৃষ্ণ। কৃষ্ণ ছাড়া কি ভারতবর্ষকে চিন্তা করা যায়? না,—ভারতবর্ষ ছাড়া কৃষ্ণকে চিন্তা করা যেতে পারে? কৃষ্ণের জন্ম ভারতবর্ষেই সম্ভব—আর কোথাও সম্ভব নয়। এই কারণেই জন্মাষ্টমী বললে লােকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর কথা চিন্তা করে। বৎসর ভর তাে কত অষ্টমী কেটে যায়, কৈ এক দিনের জন্যও তাে কেহ ভাবে না আজ শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী।
ভারতীয় আর্যজাতি সেই প্রাণের দেবতাটিকে ভুলতে পারে নাই বলেই, স্মরণীয় কালের যে দিনটিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে,সেই পূণ্য দিনটাকে আর্যজাতি আজও প্রতিপালন করে আসছে। শ্রীকৃষ্ণকে আর ভুলতেও পারবে না—ভুলে যাবার হলে এতদিন সেটা বিস্তৃতির অতল গহ্বরে তলিয়েই যেত।
প্রতি বৎসর আমরা এই পুণ্য তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের কত সংকটময়, গৌরবময় ও যশােময় জীবন বৃত্তান্ত স্মরণ করে আত্মতৃপ্তি লাভ করি। শ্রীকৃষ্ণ জন্মের পবিত্র অষ্টমী তিথিটি অতীতের সমস্ত ইতিহাসকে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরে।
ভাবি সেই কারাগারেরই কথা, সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শৃংখলিত পিতা ও মাতা কংসের অসহনীয় নির্যাতনকে নীরবে বুকে এঁকে নিয়ে অহর্নিশ জানাচ্ছে বিধাতার কাছে—“প্রভাে, এবার শুধু একটি সন্তান চাই।” জননী দেবকীর দুর্জয় সংকল্প-এ গর্ভে বীর্যবান প্রতাপশালী সন্তানের জন্ম হবে। | কংস সে তার আপন নিধন ভয়ে,আপন মৃত্যুভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে একে একে নাশ করেছে দেবকী-গর্ভজাত সাত-সাতটা শিশুকে। অত্যাচারী রাজা কংস! তুমি কি ভেবেছ, তােমার ঐ দেহে তােমার আত্মা চিরকাল থাকবে না। তােমার দেহ-ই বা কতদিন থাকবে? কাল যখন আসবে তখন সে তােমার “কাল” রূপেই আসবে।
জননীর আকুল প্রার্থনা, “ওগাে বিশ্বম্ভর! অত্যাচারী কংসের নিধন মানসে আমি একটা কাল’ সন্তান চাই। শুধু একটা প্রভাে, কেবল একটা হলেই হবে ; যে আসবে সে অত্যাচারী মানবের পক্ষে কাল-স্বরূপ হবে।” জননীর আকুল প্রার্থনা ও শিবসংকল্প তার অন্তরকে দিবানিশা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনকারীর আবির্ভাব প্রতীক্ষায় কানায় কানায় পূর্ণকরে তুলেছে। অশান্তময় জগতে শান্তির পুনঃ প্রতিষ্ঠার সংকল্প যেখানে অটল, শিষ্টের পালন ভাবনা সেখানে কল্যাণকারিণী ; দুষ্ট ও অত্যাচারীর বুকে প্রচণ্ড আঘাত হেনে অত্যাচারের ভীম কারাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করার বাসনা যেখানে উদগ্র সেখানে চরম দণ্ডের প্রতীক স্বরূপ কাল’ জন্ম পরিগ্রহ করবে না তাে কে করবে?
শ্রীকৃষ্ণের আহ্বান
তাই দেখি জননীর বহুদিনের সাধনা সফল হল। কংসের কারা-প্রাচীরের অন্তরালে কাল’,জননী দেবকীর ক্রোড়কে আশ্রয় করে জন্ম নিল। এ কাল দেবকীর কাল’ নয়এ ‘কাল’ কংসের কাল। এ ‘কাল’ তার জননীকে দেখা দিলেন অত্যাচারের মূর্ত সংহারক অভয়ঙ্কর রূপে ; আর কংসকে দেখা দিয়েছিলেন ‘কাল ভয়ঙ্কর রূপে।
দেবকী-সূত কংসের কাল’-কংসের মৃত্যু, লােকে প্রচারিত হল বাসুদেব-কাল’। সাধু সেই কালকে সাধুভাষায় বর্ণনা করলেন—কৃষ্ণ। আর যিনি সুন্দরের উপাসক তিনি কৃষ্ণকে শ্রীমণ্ডিত করে বললেন—শ্রীকৃষ্ণ। এইরূপ কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল জন্মাষ্টমীর দিন, লােকে এই তিথিটির নাম দিয়েছে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন, লােকে এই তিথিটির নাম দিয়েছে “শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী।”
সেদিন ভারতবর্ষের কি ঘাের দুর্দিন। স্থানে স্থানে অসুরের অত্যাচার, রাজ কংসের অত্যাচর, দানবে-মানবে সংঘর্ষ, অসুরে দেবতার সংগ্রাম, এমনি আরও কত অত্যাচার যে ভারতের বুকে তাণ্ডবলীলা করছিল তার ইয়ত্তা কোথায় ?- সে সব ইতিহাস আজ আর নেই? যদি বিদেশী যবনদের আক্রমণে ভারতবর্ষ জর্জরিত না হত তাহলে অবশ্যই সেই সব ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া যেতাে।
কারণ এই সেদিন ভারতে ইংরাজ আগমনের পূর্বে, একদল ভারতবর্ষের কৃষ্টি সভ্যতা ও ধর্মের বহু মূল্যবান পুঁথিপত্র জ্বালিয়েছে, পুড়িয়েছে, আর ভারতের ঐশ্বৰ্য্য লুণ্ঠন করে নিয়ে গিয়েছে ; ওগাে, দুই হাতে লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে—তারা ভারতীয় সভ্যতার বুকে বারংবার আঘাত হেনেছে সে সব দাগ ভারতের বুকে আজও আছে।
আক্রমণকারীরা সােমনাথের মন্দিরকে বারংবার ধ্বসিয়ে ফেলেও নিশ্চিহ্ন করতে পারে নাই ; সেই প্রাচীন স্থাপত্যের ভিত্তির উপর সােমনাথের মন্দির আবার উন্নত মস্তকে আকাশকে চুম্বন করতে উদ্যত। এ সােমনাথ শ্ৰীকৃষ্ণের রাজ্যব্তী সােমনাথ। ভারতে আবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উত্থান হচ্ছে। যদি তাই না হত, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের শেষ নিঃশ্বাস ভূমিকে আবার নূতন করে গড়ে তােলা হত না।
শ্রৰীকৃষ্ণ-জন্মাষ্টমীর সেই দিনটিকে ইতিহাসকার-পুরাণকার বলেছেন অন্ধকার ঘনঘাের রজনী, প্রবল বর্ষণে যমুনার প্লাবন এসেছে, মেঘের ভয়ঙ্কর গজ্জন মথুরার ভীত-শঙ্কিত জনচিত্তকে বিদীর্ণ জীর্ণ করে তুলেছে ; পুঞ্জীভূত ঘন অন্ধকারের বুক আজ বজ্রের প্রচণ্ড আঘাতে জর্জরিত। সৌদামিনীর চকিত চমক অন্ধকারকে যেন গাঢ় ও ঘন অন্ধকারময় করে তুলেছে, একি মহা-দুর্দিন।
সকলের মুখে ভীত-কাতর আহ্বান, পরিত্রাহি-পরিত্রাহি। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হচ্ছে দুর্দিনের মাঝে। সেই মহামানবের জন্মক্ষণ প্রতিপালনের সময় আজ যেমন আমরা মন্দিরকে শঙ্খ, ঘণ্টা ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলিতার আগমন সূচনায়, সেদিন কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সেভাবে জন্মসূচনা বিঘােষিত করা হয় নাই। সেদিন প্রকৃতি তার আগমন উদ্ঘোষ করেছিল বজ্রের ভয়ঙ্কর গর্জনে ; সেদিন কারাগৃহে প্রদীপ জ্বলে নাই, জননী কৃষ্ণের মুখ দেখেছিলেন-সৌদামিনীর ঝলক ঝলকে। দেবকীর সাধনার ধন তার বুকে আজ অফুরন্ত আশার প্রবল বন্যা বহিয়ে দিয়েছে।
জননীর মুখে হাসি ফুটেছে। বন্ধন-বেদনা তিরােহিত মায়ের আশা, মায়ের আনন্দ—এবার অত্যাচারের বিনাশ হবে ; কী বিপুল আশা জননীর বুকে। ভারতের মা এমনিই। নরনারী আজ শ্রীকৃষ্ণের জয়ঘােষে দিগদিগন্ত মুখরিত করে তুলেছে। শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র বল তাঁর বীর্য-তেজ, অসীম পরাক্রম স্মরণ করে কত কবি, কত লেখক, তাদের কাব্যে, গাথায়, গানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে, কিন্তু যে জননী সাধনা করল প্রতি নিয়ত দেশকে জাতিকে অত্যাচারের নিষ্ঠুর কবল হতে মুক্ত করার জন্য—যে জননী কারা প্রাচীরের অন্তরালে তপস্যা করল অরিন্দম পুত্রের জন্য—যে জননী দিনের পর দিন মাসের পর মাস ভাবি সন্তানের চিত্ত ও মন গঠনের ধ্যানে নিরতা ছিল, সে দুঃখিনী জননী দেবকীর কথা আজ কেহ তাে চিন্তা করে না।
ভারতের যত মহাপুরুষ ও মহামানব এসেছেন—গিয়েছেন, দেশবাসী তাঁদের জন্মােৎসব পালন করে থাকে, তাঁদের কীৰ্ত্তি-গাথার উগান করে। কিন্তু যারা এদের জননী, কৈ তাঁদের উদ্দেশ্যে দেশবাসী উৎসব করে না তাে? এ বিষয়ে ভারতীয় আর্যজাতি এত উদাসীন কেন? এর উত্তর আজ কে দেবে?
আর্যজাতি! আজ এই জন্মাষ্টমীর দিন নারীজাতি মাতৃজাতিকে সম্বােধন করে বলতে হবেওগাে জননী। তােমাদের মতই এক মা ভারতের মহা দুর্দিনে কঠোর তপস্যা করে শ্রীকৃষ্ণকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। মা তােমরাই পারাে—এ ক্ষমতা ভগবান তােমাদেরই একচেটে করে দিয়েছেন ; শঙ্কর রামমােহন, অরবিন্দ, দয়ানন্দ, বিবেকানন্দ, ঈশ্বরচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের মত কত সন্তানকে ভারতের মাতৃশক্তিই তাে ধারণ করেছে। স্বাধীন শীর্ণ-ভারতে আজ মহা দুর্দিন ; এই দুর্দিনে শক্তিশালী বলবান সন্তান চাই। জননী আজ সংকল্প করাে, প্রতিজ্ঞা করাে, তােমার গর্ভে চরিত্রহীন সন্তানের জন্ম হবে না।
হীনবীর্য, ভীরু কাপুরুষ সন্তানকে তুমি তােমার হিরণ্যগর্ভে স্থান দেবে না ; স্বার্থপর, মৃত্যুভয়ে ভীত মানব তােমার গর্ভে জন্ম নিয়ে নারীর মাতৃত্বের অবমাননা করবে না। তােমার গর্ভে দেবতা আসবে ; যার প্রভায় ধরায় তিমির রাত্রি কেটে গিয়ে দলিত মানবের আশাহীন আন্ধকারাচ্ছন্ন ভগ্ন বুকে আশার বিমল আলােক ফুটে উঠবে ; বিশ্বের দুঃখ পীড়িত নরনারী তােমার সন্তানকে বলবে-তুমি আমাদের দুঃখ বন্ধন মােচন করেছ, তুমি আমাদের বরেণ্য।
সেদিন যেমন শ্রীকৃষ্ণের প্রয়ােজন ছিল—আজও তেমনি ধর্মরাজ্যের পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য—শ্রীকৃষ্ণের প্রয়ােজন আছে। শুধু কৃষ্ণ এস, কৃষ্ণ এস বলে, দরবিগলিত ধারায় অশ্রুবর্ষণ করে, ভক্তিরসের অবতারণা করলে শ্রীকৃষ্ণ আসেনা। শ্রীকৃষ্ণ আসে পিতা-মাতার সঙ্কল্প শক্তিতে, যেভাবে সঙ্কল্প করেছিলেন পিতা বাসুদেব ও মাতা দেবকী।
একটা মানুষ, সে তার এক জীবনে কৃষ্ণকে জানতে পারে না। শ্রীকৃষ্ণের অদ্ভুত গুণরাজি এতই অধিক যা নাকি সাধারণ মানুষের কল্পনারও অতীত। কৃষ্ণকে যখন সাধারণ বুদ্ধি তার গণ্ডির মধ্যে আটকাতে পারে না, তখন কৃষ্ণ হয়ে যায় সাধারণের নিকট ঈশ্বরের মত। কৃষ্ণের সারল্য, মাধুর্য, বীরত্ব, পরাক্রম, দানশীলতা, রাজনীতিজ্ঞতা আদি যত গুণের কথাই বলুন না কেন, তার এত গুণ দেখে, মানুষ একই সময়ে তাকে সবদিক দিয়ে চিনতে পারে না। কৃষ্ণকে জানা অসম্ভব, বিশেষ করে অজ্ঞানান্ধের পক্ষে যাদের জ্ঞান-চক্ষু নেই-যারা জ্ঞান-চক্ষু | হীন, তাদের পক্ষে। অন্ধের হাতী দেখা যেমন চক্ষুম্মানের কাছে হাস্যকর, শ্রীকৃষ্ণকে অজ্ঞানীর পক্ষে জানাও তেমনি হাস্যকর।
হাতী কেমন, অন্ধব্যক্তি ত জানে না। যার চোখ নেই সে জানবে কেমন করে? যারা চোখে হাতী দেখেছে তারা অন্ধকে বুঝাচ্ছে-“হাতী আকারে পাহাড়ের মত। অন্ধযে পাহাড় দেখে নাই, সে কেমন করে বুঝবে পাহাড় – কেমন? যার পাহাড়ের জ্ঞান নেই, তাকে পাহাড়ের উপমা দিয়ে বুঝান ব্যর্থ ছাড়া কি হতে পারে? অন্ধকে যতই হাতি সম্বন্ধে বুঝান যায়, অন্ধ ততই বুঝে না। পরিশেষে ঠিক হল—অন্ধদের হাতির কাছে নিয়ে যাওয়া হােক, তারা নিজেরাই অনুভব করুক হাতী কি রকম। একদিন চক্ষুহীনদের নিয়ে যাওয়া হল হাতীর কাছে। প্রথম চক্ষুহীন ধীরে ধীরে হাতীর কাছে গিয়ে তার কানে হাত দিয়ে ফিরে এলাে ; আর একজন গেল-সে হাতির মােটা মােটা পায়ে হাত বুলিয়ে ফিরে এলাে।
তারপর যে গেল ; সে তার ল্যাজে হাত দিয়ে টেনে টুনে ফিরে এল……এখন তাদের এক এক করে জিজ্ঞাসা করা হল—বলতাে হাতীকে কেমন বুঝলে? প্রথম যে হাতীর কানে হাত দিয়েছিল, সে বলল”হাতী একটা কুলাের মত বুঝলাম।” দ্বিতীয় জনকে জিজ্ঞাসা কর হল—বলতাে, হাতী কেমন?—সেবলল, “আরে..হাতীতাে দালানের স্তম্ভের মত।” তৃতীয় চক্ষুহীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে বললে—হাতী দড়ির মত। হাতী যে দড়ির মত তা আমি টেনেই টের পেয়েছি।
এর বেশী এদের জ্ঞান নেই—অনুভবের ক্ষমতা নেই, এরা এইগুলিই যে হাড়ে পেয়েছে। যে শুধু হাতীর পায়ে হাত দিয়েছে, সে যদি হাতীকে বাড়ীর স্তম্ভ বলে বর্ণনা করে, তাতে আশ্চর্য হবার কি আছে, সে হাতীর একদিক দেখেছে মাত্র-গােটা হাতীটা হাতড়ায় নাই। কৃষ্ণকে না জানতে পারাও ঠিক্ তেমনি। | গােটা কৃষ্ণকে দেখবার মত ও জানবার মত জ্ঞান-চক্ষুর প্রয়ােজন।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথকে জানতে হলে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পড়তে হবে—তার কবিতা, প্রবন্ধ, সঙ্গীত, নাটক প্রভৃতি পড়-রবীন্দ্রনাথকে জানতে পারবে। মহাত্মা গান্ধীকে জানতে চাও তাঁর আত্মজীবনী পাঠ কর, হরিজন পড়, Young India পড়, তার অন্যান্য সাহিত্য পাঠ কর—মহাত্মা গান্ধীকে জানতে পারবে—চিনতে পারবে; তাকে না দেখেও তার পরিচয় পাবে। বুদ্ধকে জানতে চাও-বুদ্ধের উপদেশ পাঠ কর ; দেখবে ভগবান বুদ্ধ বিশ্বে কি আনতে চেয়েছিলেন—তার উপদেশই তার জীবনী।
ঠিক তেমনি—যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে চাও, গীতা পাঠ কর। গীতাকে পাঠ করে গীতাকে জানতে চেষ্টা কর। যে শুধু গীতাকে পাঠ করেছে, সে শ্রীকৃষ্ণের সবটুকু জানতে পারবে না। তার সব পরিচয় অপ্রাপ্তই থেকে যাবে—কারণ গীতা যে কৃষ্ণের মাত্র একটা দিক সবদিক নয়।
শ্রীকৃষ্ণের আহ্বান পর্ব: ২ পড়তে সাথেই থাকুন ।