সরস্বতী দেবীকে তুষ্ট করার জন্য মহামুনি ব্যাসদেব বদরিকাশ্রমে তপস্যা করছিলেন। তপস্যা শুরুর পূর্বে তার তপস্যা স্থলের কাছে একটি কুল বীজ রেখে শর্ত দেওয়া হলো যে যখন এই কুলবীজ অংকুরিত হয়ে চারা,চারা থেকে গাছ, গাছের ফুল হতে নতুন কুল হবে কুল পেঁকে ব্যাসদেবের মাথায় পতিত হবে।সেইদিন তার তপস্যা পূর্ণ হবে বা সরস্বতী দেবী তুষ্ট হবেন। ব্যাসদেব ও সেই শর্ত মেনে নিয়ে তপস্যা শুরু করলেন।
![plum-eating-before-saraswati-puja](http://sonatoni.com/wp-content/uploads/2023/01/plum-eating-before-saraswati-puja.jpg)
ধীরে ধীরে বেশ কয়েক বছরে এই কুলবীজ অংকুরিত হয়ে চারা,চারা থেকে বড় গাছ,বড় গাছের ফুল থেকে নতুন কুল হয় এবং একদিন তা পেকে ব্যাসদেবের মাথায় পতিত হয়। তখন উনি বুঝতে পেরেছেন তার তপস্যা পূর্ণ হয়েছে। (কুল এর আরেক নাম বদ্রী,তপস্যার সাথে বদ্রী এর সম্পর্ক থাকায় ঐ জায়গার নাম বদরিকাশ্রম নামে প্রচার হয়ে যায়)
দিনটি ছিল শ্রীপঞ্চমীর দিন। সেদিন বেদমাতা সরস্বতীকে বদ্রী/কুল ফল নিবেদন করে অর্চনা করে তিনি ব্রহ্মসূত্র রচনা আরম্ভ করেন ও সরস্বতী দেবী তুষ্ট হয়েছিলেন। তাই সেই দিনের আগে আমরা কুল ভক্ষণ করি না শ্রীপঞ্চমীর দিন সরস্বতী দেবীকে কুল নিবেদন করার পরেই কুল ভক্ষণ করি।
Also Read: ভাইফোঁটা কি ও কেন? জানুন ভাইফোঁটা প্রচলনের ইতিকথা